, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


'কোটা বাতিলের নামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ট্রল করা হচ্ছে'

  • আপলোড সময় : ১২-০৬-২০২৪ ০৩:০৪:১০ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-০৬-২০২৪ ০৩:০৪:১০ অপরাহ্ন
'কোটা বাতিলের নামে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ট্রল করা হচ্ছে'
এবার আদালতের রায়ের পরও সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করার যে আন্দোলন করা হচ্ছে তা মুক্তিযোদ্ধার পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।

আজ বুধবার (১২ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খা হলে ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, অপ্রচার ও বাস্তবতা’ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। এসময় বক্তারা বলেন, আদালতের রায়ের পরও আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলোকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করা হচ্ছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ও কোটার পক্ষে রিটকারী অহিদুল ইসলাম তুষার।

এ সময় তিনি বলেন, এদেশে নানা বৈষম্যর কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। তবে এখন সরকারি চাকরির নিয়োগে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তাদের যে প্রজন্ম তাদের জন্য শুধু চতুর্থ শ্রেণিরর চাকরি দেবার জন্য কোটা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরি দিতে চাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের প্রথম শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে দেখতে চায় না সেই গোষ্ঠী। কোটা আন্দোলনের পর যখন কোটা ব্যবস্থা বন্ধ নিয়ে আদালতে রায় দেওয়া হয়েছিল, তখন আমরা আমাদের পক্ষ থেকেও আদালতে যাওয়া হয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আদালতে রায়ের পর ২০১৮ সালে ৪ অক্টোবর ৯ম-১৩তম গ্রেড এবং ২০২০ সালে ১ম-৮ম গ্রেডে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন মিডিয়ায় প্রচার করা হয় শুধু ১ম ও ২য় শ্রেণির পদে কোটা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু পরিপত্রে দেখা গেলো ১ম, ২য় এবং তৃতীয় শ্রেণির ৩টি গ্রেড ১১, ১২, ১৩তম পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।

কেন না ১ম শ্রেণি শুধু ৯ম গ্রেড, ২য় শ্রেণি শুধু ১০ম গ্রেড এবং তৃতীয় শ্রেণি ১১-১৬তম গ্রেড ও চতুর্থ শ্রেণি ১৭-২০তম গ্রেড। অর্থাৎ ১ম ও ২য় শ্রেণির কথা বলে ৩য় শ্রেণির আংশিক কিছু পদে কোটা বাতিলের কারণ খুব পরিকল্পিত কারণ। তৃতীয় শ্রেণির এ গ্রেডগুলোতে জনবল সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক যাতে সরকারি চাকরিতে বৃদ্ধি না পায় সে জন্য এ শ্রেণি গুলোতেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা হয়।
 
তিনি বলেন, যারা কোটার বিপক্ষে ছিলেন সেটা ছিল তাদের আন্দোলন, এখানে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা যারা কোটার পক্ষে আমরা আমাদের দাবি নিয়ে আদালতে যাই। আদালত আমাদের বিষয়েও রায় দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও যারা এই কোটার জন্য আদালতের রায়ের পরও আন্দোলন করছে তারা আদালতের রায়ের প্রতি অবমাননা করছে। রায় হবার পরও কেন আন্দোলন হবে। এখানে সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের পেছনে একটি গোষ্ঠী কাজ করছে।

তিনি আরো বলেন, কোটা প্রথা কখনই বৈষম্যময় নয়। আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত ভুল ধারণা আছে যে, কোটা প্রথায় যারা চাকরি নেয় তাদের কোনো প্রকার মেধা যাচাই ছাড়া চাকরি দেওয়া হয়, এই ধারণাটি ভুল। কোটায় যারা চাকরি নেন তাদের অন্য সব চাকরির প্রার্থীর মত মেধা যাচাই করা হয়। অন্য কোনো কোটা থাকলে সমস্যা নেই, শুধু সমস্যা মুক্তিযুদ্ধ কোটায়। 
সর্বশেষ সংবাদ